কাজল মিত্র :-বেপরোয়া ভাবে আসা পুলিশের একটি গাড়ি পরপর ধাক্কা মারলো একটি ও সাইকেল যাত্রী বোঝাই একটি অটোরিক্সায়। এই ঘটনায় দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন সাইকেল আরোহী ও অটোরিক্সার চালক সহ মোট তিনজন। তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে ব্যাপক প্রতিবাদ জানান। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার আসানসোল গৌরান্ডি রোডে লালগঞ্জ এলাকায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড বেধে যায় ঐ এলাকায়। ঘটনার জেরে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। এই ঘটনার জেরে আসানসোল গৌরান্ডি রোডে দীর্ঘক্ষন যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা হলো বারাবনি থানার বালিয়াপুরের বাসিন্দা সাইকেল আরোহী সাধন চক্রবর্তী( ৫৫), গৌরান্ডির বাসিন্দা অটো চালক পাপু শেখ (৪৫) ও অটোর যাত্রী বালিয়াপুরের শিবু দাস (৪৫)। পরে এই তিনজনকে আসানসোল জেলা জেলা হাসপাতাল থেকে দূর্গাপুরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি চালককেও আটক করা হয়। রাতেই গাড়ি চালকের মেডিকেল পরীক্ষা করা হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ছিলো, পুলিশ গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলো।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ আসানসোল উত্তর থানার পুলিশের একটি গাড়ি গৌরান্ডির দিক থেকে আসানসোলের দিকে আসছিলো। অন্যদিকে, ঐ একই সময়ে একটি অটোরিক্সা আসানসোলের দিক থেকে গৌরান্ডির দিকে যাচ্ছিলো। পুলিশের গাড়িতে চালক একা থাকলেও, অটোতে চালক ছাড়াও আরো দুই যাত্রী ছিলেন। আসানসোল গৌরান্ডি রোডে আসানসোল উত্তর থানার লালগঞ্জ মোড়ের কাছে বেপরোয়া ভাবে আসা পুলিশের গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কা এতটাই জোরে ছিলো সংঘর্ষে দুটি গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে অটোটি একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় অটো চালক পাপু শেখ ও যাত্রী শিবু দাস গুরুতর আহত হন। অন্য এক যাত্রীর অল্পের জন্যে রক্ষা পান। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মুহুর্তের মধ্যে কয়েক হাজার জনতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। যদিও দূর্ঘটনার পরে সুযোগ বুঝে পুলিশ গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটো থেকে চালক ও যাত্রীকে বার করা হয়। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। পরে জানা গেছে, লালগঞ্জের আগে বালিয়াপুরে এই পুলিশের গাড়িটি সাইকেল আরোহী সাধন চক্রবর্তীকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে আসে। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের গাড়ি চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলো। পরে পুলিশ আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিক্ষোভের জেরে ঐ রোডে গাড়ি চলাচল দীর্ঘক্ষন বন্ধ থাকে। কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনা একটা ঘটেছে। পুলিশের গাড়ি ঐ অটো ও এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। ঠিক কি ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Comments