সংবাদদাতা, সুন্দরবন : বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলো এক যুবক সুন্দরবনে।জঙ্গলের ধারে চিংড়ি ধরতে গিয়ে সুন্দরবনের মহারাজের মুখে পড়েছিল এক যুবক। জঙ্গল থেকে বের হয়ে শিকার কে মুখে করে তুলে জঙ্গলে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে বাঘ। তবে ভাইয়ের বুদ্ধির জোরে এ যাত্রায় বাঘের মুখ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে দাদাকে। বাঘের আক্রমণে আহত ওই মৎস্যজীবী যুবকের নাম গৌর মিস্ত্রি। বাড়ি সুন্দরবনের গোসাবা থানার সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এমিলিবাড়ি এলাকায়। স্থানীয় ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে গৌর, নিতাই ও হরেকৃষ্ণ মিস্ত্রি নামের ৩ যুবক এমিলিবাড়ি গ্রাম থেকে ঠিক উল্টো দিকে ঝিলার জঙ্গলের ধারে যায় চিংড়ি মাছ ধরতে। এরা তিন জনেই সম্পর্কে জ্যাঠতুতো- খুড়তুতো ভাই। তার মধ্যে নিমাই নামের এক যুবক কলেজে পড়ুয়া। কোনদিনই এরা জঙ্গলের ধারে মাছ ধরতে যায় নি। এমনকি কোন দিন জঙ্গলের ধারে বাঘও দেখে নি। জঙ্গলের ফেনসিং নাইলনের জাল ঘেরা দেখেই ওই জঙ্গলের ধারে নদী চরে মাছ ধরছিল তারা। কিন্তু একটি বাঘ আগে থেকেই জঙ্গলের ফেনসিংয়ের বাইরে বের হয়ে এসেছিল। আর সুযোগ বুঝে আচমকাই গৌর মিস্ত্রীর ওপর আক্রমণ করে। নৌকা থেকে গৌর নদীতে ঝাঁপ দেয়। তার সঙ্গী ভাইরা থমকে যায়। বাঘ নদীতে নেমে থাবা মেরে শিকারকে মুখে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে । সেই সময় ভাই নিমাই মাঝ ধরার জাল ছুঁড়ে দেয় বাঘের গায়ে । আর জালে জড়িয়ে যায় বাঘ। তখন শিকার ফেলে রেখে পালায়। বাঘের থাবার আক্রমণে গৌরের মাথা, ঘাড় ও পিঠে নখের দাগ বসে কেটে যায়। তৈরি হয় গভীর ক্ষত। কিন্তু সঙ্গী ভাইদের সহযোগিতায় কোনক্রমে রক্ষা পান ওই মৎস্যজীবী যুবক। এরপর তাকে নিয়ে আসা হয় গোসবা গ্রামীন হাসপাতালে। শরীরে বেশকিছু সেলাই পড়েছে। আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল।আর ভাইদের উপস্থিত বুদধিতে এ যাএায় বেঁচে ফিরলো দাদা বাঘের মুখ থেকে।
top of page
bottom of page
Kommentare