রেল শহর চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি মার্কেটের দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
- gangayo sundarbon barta
- Oct 29, 2024
- 2 min read
কাজল মিত্র :-গত ২৬ সেপ্টেম্বর রেল শহর চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি মার্কেটের বেআইনি বা রেল আইনের মোতাবেক না থাকা দোকানগুলি উচ্ছেদের অভিযান শুরু করেছিল রেল প্রশাসন। সেই সময় সামনেই দূর্গাপুজো ছিলো। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ী বা দোকানদারেরা তাদের কথা দুই বিজেপি বিধায়ক আসানসোল দক্ষিণের অগ্নিমিত্রা পাল ও কুলটির ডাঃ অজয় পোদ্দার ও আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা বারাবনির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে বলেছিলেন।
সেই মতো চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বা সিএলডবলুর জিএমের সাথে বৈঠক করেছিলেন বিধান উপাধ্যায় ও অজয় পোদ্দার। তখন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল
বিধানসভা নির্বাচনের কাজে ঝাড়খণ্ডে ছিলেন ।
যদিও তিনি সেই সময় চিত্তরঞ্জনে আসতে না পারলেও, দোকানদারদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে
চিঠি লিখেছিলেন এবং কারখানার জিএমের সঙ্গেও কথা বলেন।যাতে করেএইসব দোকানদার দের কথা ভাবা যায় ।
দূর্গা পূজা শেষে এখন কালি পুজো বা দীপাবলি উৎসব এরপরেই ছট পুজো। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় দোকানদার দের মাথায় পুনরায় চিন্তার ভাঁজ কপালে।আর তাই তারা তাদের অভাব,অভিযোগ ও দাবিগুলি তুলে ধরতে অগ্নিমিত্রা পালের কাছে আহ্বান করেন।সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোমবার আমলাদহি বাজারে পৌঁছান
আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল
এদিন দোকানদারেরা তাদের দাবিগুলি পেশ করেন বিজেপির রাজ্য নেত্রীর কাছে। সমস্ত আলোচনা শেষে অগ্নিমিত্রা পাল সংবাদ মাধ্যমকে জানান বিষয়টি নিয়ে, তিনি রেল মন্ত্রী ও সিএলডবলুর জিএমের কাছে তুলে ধরবেন ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার জন্যে অনুরোধ করবেন।
পরে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমি এদিন দোকানদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কথা শুনেছি। দেখি কতদূর কি করতে পারি।
উল্লেখ্য, রেল শহর চিত্তরঞ্জনে রেলের মার্কেট বা জমিতে বেআইনিভাবে দখল করে থাকা দোকান উচ্ছেদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেলের দাবি, এই আমলাদহি মার্কেটে ১৮৪ টির মতো বেআইনি দোকান আছে। ইতিমধ্যেই রেল তাদের আইন মতো বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, আইন মেনে কত দোকান আছে। প্রয়োজনে নিলাম করতে পারে রেল বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। এখানেই আপত্তি করেছেন দোকানদারেরা। তাদের দাবি, এমন অনেক দোকানদার আছে, যাদের বাবা ও দাদুরা দোকান করতেন। সেই সূত্রে তারা তা পেয়েছেন। রেল আমাদেরকে নিয়ম মেনে কাগজ করে দিক।তাতে যতটা টাকা দেওয়ার আমরা তা দেবো।
Comments