https://youtu.be/7xVvzlo17g4 পুরো ভিডিও টি দেখতে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন ।
এবার ভয়াবহ ভাঙনে তলিয়ে গেল স্কুল ঘর। পূর্ণিমার কোটালের জেরে হুগলি নদীতে জলস্ফীতিতে তলিয়ে গেল একটা গোটা স্কুল। বুধবার বিকেলে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর বিধান সভার ঘোড়ামারা দ্বীপের খাসিমারা গ্রামে। নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়া স্কুলটির নাম খাসিমারা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়।এই ঘটনার আক্সমিতায় ভীত ও হতবাক হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজন।খবর পেয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা পৌঁছান সেখানে। ভাঙন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপে আমফান এবং ইয়াসের পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করেছে।খাসিমারা গ্রামে বেশ কিছু চাষজমি ও মানুষের বাস যোগ্য ঘরবাড়ি আগেই তলিয়ে গিয়েছে হুগলি নদীর গর্ভে।ভূমিক্ষয়ের জেরে নদীও ক্রমশ এগিয়ে আসছে।খাসিমারা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৭০ জন।কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ ছিল।গত কয়েক মাসে স্কুলের পাশের জমি ক্রমশ নদীতে তলিয়ে যেতে শুরু করে। বুধবার লক্ষ্মীপুজোর দিন বিকালে পূর্ণিমার কোটালের জেরে হুগলি নদীতে জলস্ফীতি দেখা দেয়।আর জোয়ারের জলস্ফীতির সময় স্কুল ঘরটি তলিয়ে যায় এই নদীগর্ভে।আর এ খবর জানার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ভিড় জমান নদীর ধারে। ব্লক প্রশাসন ও সেচ দফতরের প্রতিনিধিরা ও ঘটনা স্থলে চলে আসেন। তবে বুধবার রাত অবধি ঐ এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানিয়েছেন, খাসিমারা এলাকায় কোনও ভাবেই ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে ইয়াসের পর থেকে বাঁধ বারবার ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে।বহু এলাকার মতই স্কুলটি ও শেষে তলিয়ে গেল।রক্ষা করতে পারলাম না। তবে ওই এলাকাতেই একটি উঁচু জায়গা দেখে নতুন স্কুল তৈরি করে দেওয়ার ভাবনা চিন্তা চলছে।দেখা যাক কি করা যায়। তবে ক্রমাগত এই ভাঙনে ভীত, শংকিত এলাকার মানুষ জন।
Comments