উজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায়,কাকদ্বীপ : আর মাএ দুমাস বাকী গঙ্গাসাগর মেলার।আর এই সাগরে যাতায়াতের মূল সমস্যা হলো নদী পারাপার।পলি জমে জমে সারা দিনের বেশিরভাগ সময় পারাপার বন্ধ হয়ে পড়ে এই সাগরে।মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পর থেকে নিয়মকরে ড্রেজিং এর কাজ হয়।স্থানীয় কিছু সমস্যায় বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে কাকদ্বীপের লট ৮ ঘাটের কাছে শুরু হয়েছে মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিং এর কাজ।আপাতত একটি ড্রেজার দিয়ে পলি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। পুরোদমে কাজ শুরু হতে আরও সপ্তাহখানেক লাগবে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।এর আগে পলি কাটার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণ নিগমকে (ইনল্যান্ড ওয়াটার্স)।২০১৮ সালে গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগে থেকে বছরভর পাঁচটি আধুনিক ড্রেজার মেশিন ও চারটি পলি কাটার মেশিন দিয়ে নিয়মিত নদীতে এই কাজ চলেছিল। টানা পাঁচ বছর ড্রেজিংয়ের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে টাকাও বরাদ্দ করা হয়।সাগর মেলা শেষ হয়ে গেলে ও সারা বছর ড্রেজিং চলার কথা ছিল।কিন্তু গত মেলা শেষ হওয়ার কিছুদিন পরেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কিছুদিন ভেসেল পরিষেবা ঠিক থাকলেও ২-৩ মাসের মধ্যে পরিস্থিতি আবার আগের মতোই হয়ে দাঁড়ায়। এখন কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্তিমিত হওয়ায় আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলায় গতবারের তুলনায় বেশি ভিড় হতে পারে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসন। আর সে জন্যই বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে এই মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিংয়ের উপরে। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে জেলা প্রশাসন।সামনের সপ্তাহে আরও পাঁচটি পলি কাটার মেশিন নদীতে নামবে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গেল।তবে এই কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে সাগরের বাসিন্দারা। নাব্যতা কমে গেলে ভাটার সময়ে দীর্ঘক্ষণ ভেসেল বন্ধ থাকা এটা বহু বছরের সমস্যা। এ ব্যাপারে কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জানুয়ারির মাসের প্রথম সপ্তাহে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।কারন তারপরেই গঙগাসাগর মেলা।
top of page
bottom of page
Comments