top of page
Search
Writer's picturegangayo sundarbon barta

জল ছাড়ল ডিভিসি, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

কাজল মিত্র - ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। এরই মধ্যে ফের বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি (DVC)। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে ফের একবার ডিভিসিকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে বন্যা, আবার ডিভিসি গতকাল জল ছেড়েছিল। বাংলা তো জল হজম করার জায়গা হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় জল জমলেও নেমে যায়। পাম্পিং সিস্টেমের উন্নতি হয়েছে। ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নতি হয়েছে। তাছাড়া পলি সরানোর কাজটাও আমরা করেছি। অনেক সময় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। রাস্তায় ইট, বালি ফেলে রেখেছে। নর্দমা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এটা বোঝা উচিত। যাতে নর্দমা বন্ধ না হয়। সাধারণ মানুষের বিপদ না হয়। কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।”


গত তিনদিনে প্রায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ডিভিসির (DVC) পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়তে হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার একাংশে দামোদর নদ কার্যত ফুঁসছে। পুজোর আগেই ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার ফলে ওই এলাকায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফের এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। বুধবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে ডিভিসির চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। পরিস্থিতি নজরে রেখে সময়মতো রিপোর্ট জমা দিতে সেচ দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‍‘‘ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি মেদিনীপুর জেলায় রয়েছি। এখানকার পরিস্থিতি নজরে রাখছি। সেচ দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন ডিভিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমরা সমস্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি। গত বর্ষায় যে এলাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলিও দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে।’’ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, তার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম যেমন, রেসকিউ গাড়ি, ইলেক্ট্রিক করাত, মই, মিনি জেনারেটর ইত্যাদি মজুত রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবারই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুত রয়েছে।

0 views0 comments

Recent Posts

See All

কালী পূজা উপলক্ষে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী

কাজল মিত্র :-কালী পূজা উপলক্ষে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানে ও ফুলবেরিয়া পঞ্চায়েত এর সহযোগিতায় বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী করা...

সমাজসেবী সংস্থা শশীও ফাউন্ডেশন ফের এক মাসের খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন ৪০ জন পরিবারের হাতে।

কাজল মিত্র:-পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি বিধানসভা অন্তর্গত ডেমোমেন স্থিত নেতাজি আই হাসপাতাল প্রাঙ্গনে প্রত্যেক মাসে বিনামূল্যে...

কুলটি সেল কারখানায় ৫টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে একদিন ব্যাপি ধর্মঘট।

কাজল মিত্র :- AITUC , BMS, ,সহ পাঁচটি সর্ব ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে ষ্টীল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের রাজ্যের সবকটি স্টিল প্লান্টের...

Comments


Post: Blog2_Post
bottom of page