উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : সাফাই অভিযানে এবার জনপ্রতিনিধিদের সাথে সামিল হলেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিগন।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে জয়নগর বিধানসভার নতুনহাট এলাকায়। জয়নগর বিধানসভার বকুলতলা থানার ৬১ বছরের প্রাচীন বকুলতলা নতুন হাটের উন্নয়ন ও হাটের পরিচ্ছন্নতার জন্য এগিয়ে এলো নবনির্বাচিত হাট কমিটি। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে এই জেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় নতুনহাটটি।এটি জয়নগর কুলতলি সংযোগস্থলে অবস্থিত। সুন্দরবনের জয়নগর কুলতলি রোডের পাশে অবস্থিত এই হাটে বর্তমানে প্রায় ১৭০০ জন ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন নিয়মিত। চরম দূর্দশার মধ্যে এই হাটের মাছের বাজার থেকে শুরু করে সবজির বাজার। নোংরা অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় নিয়মিত বাজার বসে এখানে। তাছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার ও রবিবার হাট বসে এখানে।জয়নগর কুলতলি সহ আশেপাশের বহু এলাকার বহু মানুষ এই হাটে বেচাকেনা করতে আসেন। দীর্ঘদিনের এই অব্যবস্থা কাটিয়ে এই হাটকে সাজাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় শিক্ষক সমাজসেবী শাহাবুদ্দিন শেখ। তাঁরই উদ্যোগে শুক্রবার সকালে ঝাঁটা হাতে হাট সাফাই অভিযানে নামে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, জয়নগর দু'নম্বর বিডিও মনোজ মল্লিক, বকুলতলা থানার ওসি অভিজিৎ পাল, জয়নগর দু'নম্বর পঞ্চায়েতের সভাপতি মোনাজাত খান, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ সেলিম খান, হাট কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি শাহাবুদ্দিন শেখ, সদস্য হাসান আলী লস্কর,হারুন রশিদ মোল্লা,ব্লকের বড় বাবু প্রশান্ত গায়েন সহ আরো অনেকে। এদিন বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন এই হাটের উন্নয়নের জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তাঁর মধ্যে তাঁর বিধায়ক তহবিলের ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হাটের উন্নয়ন, সুলভ শৌচালয়, রাস্তা সহ একাধিক কর্মসূচি আছে। এছাড়া মৎস্য দফতরের উদ্যোগে মাছের বাজারটা কে আধুনিকরণ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। জয়নগর দু'নম্বর বিডিও মনোজ মল্লিক বলেন, হাট কমিটির সাথে আমরা বসে এই এলাকার উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করছি এবং মানুষকে সচেতন হতে হবে আগে। নোংরা আবর্জনা রাস্তায় না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। নিজেরাই নিজেদেরকে হাট কে পরিষ্কার করে তুলুন।তাছাড়া রাস্তার দু'পাশে অবৈধ দোকান কোন মতেই তৈরি করা যাবে না। জন বহুল রাস্তার উপরে কারণে-অকারণে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। এদিন বকুলতলা থানার ওসি অভিজিৎ পাল বলেন, নিয়মিত ভাবে এই হাটকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ব্যবসায়ীদের নিজেদের স্বার্থে সাধারণ মানুষের স্বার্থে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত এবং এই এলাকাকে যানজট মুক্ত করতে আমরা ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি।বকুলতলা নতুনহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহাবুদ্দিন শেখ বলেন, দীর্ঘ ৬১ বছর পরে এই হাটের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে এসে পড়েছে। আমরা এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে হাটের সমস্ত রকমের উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি। আলো, ড্রেনেজ সিস্টেম, শৌচালয়, যানজটমুক্ত এলাকা সহ একাধিক পরিকল্পনা আমাদের আছে। আর আজ থেকে শুরু হওয়া এই সাফাই অভিযান সারা বছরই আমরা নিয়মিত ভাবে পালন করার জন্য ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য চারজন সাফাই কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী দিনে আরও কর্মী নিয়োগ করা হবে এবং সবকিছুতেই সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এগোতে চাই।এদিন এই বাজার সরজমিনে পরিদর্শন করেন বিধায়ক,বিডিও,ওসি সহ একাধিক জন প্রতিনিধি গন।
top of page
bottom of page
Commenti