উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : সম্প্রতির এক জলন্ত উদাহারন দেখতে পাওয়া গেল জয়নগর বিধানসভা এলাকার গড়দেওয়ানি গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়দেওয়ানি গ্রামে। এখানে অন্য বছরের ন্যায় এ বছর ও হিন্দু - মুসলিম একএে কালী মণ্ডপে কালী প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে এলেন। সাহাবুদ্দিন, হাসান ,হারুন, বিদ্যাধর, স্বপন এখানে কোনো এক ধর্মের ভেতর আটকে না থেকে একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কালী পুজোয় মেতেছেন।মণ্ডপে কালী প্রতিমা কাঁধে করে আনা থেকে শুরু করে বিসর্জন সবেতেই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন সাহাবুদ্দিন, হাসান, হারুন,বিদ্যাধর, স্বপনরা। সম্প্রীতির এমন অনন্য নিদর্শনে খুশি এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীদের পুজোর প্রসাদ বিতরণ থেকে শুরু করে ভোগ খাওয়া সবই একসঙ্গেই করেন এঁরা। পাঁচ বছরে পা দিয়েছে জয়নগর বিধানসভার বকুলতলার থানার গড়দেওয়ানি সবুজ সংঘের কালীপুজো। এই পুজো কে ঘিরে আনন্দে মাতেন গ্রামের লোকজন। কয়েক মাস আগে থাকতেই শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। গ্রামের লোকজনের চাঁদা ও পুজো কমিটির সদস্যদের চাঁদাতেই হয় এই পুজো। সাহাবুদ্দিন শেখ, হারুণ রশিদ মোল্লা, মুজিবর রহমান মোল্লা, হাসান আলি লস্কর, তপন মণ্ডল, স্বপন হালদার ,শৈলেন হালদার, বিদ্যাধর মণ্ডল সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই পুজোকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। পুজোকে ঘিরে এলাকার শিশুদের নিয়ে নানা অনুষ্ঠান চলছে।এই পুজো কমিটির সদস্য শিক্ষক সাহাবুদ্দিন শেখ বলেন, আমাদের সবার পরিবারের সদস্যরা সারাদিন এই পুজোতেই কাটায়। আগে ক্লাব থেকে দুর্গাপুজো করা হত, কিন্তু তা বন্ধ হয়ে গিয়ে পাঁচবছর ধরে এলাকার সব ভাইরা একত্রে এই পুজো করি।শনিবার আমরা এক সাথে মিলে খিচুরি ভোগ বিতরণ করবো প্রায় দেড় হাজার মানুষের হাতে।করোনার সব সুরক্ষা বিধি মেনেই পুজা পালন করা হচছে। পুজো কমিটির আর এক সদস্য বিদ্যাধর মণ্ডল বলেন, এলাকার এই কালী পুজো দেখতেই মানুষজন ভিড় জমায়।পুজোয় মায়ের খিচুড়ি ভোগ খাওয়া থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণ আমরা একত্রেই করি। আর এক সদস্য হাসান আলি লস্কর বলেন, আমরা তো গ্রামে সবাই ভাই ভাই। একত্রে তাই কয়েক বছর ধরে পুজো চালিয়ে আসছি। আমাদের আত্মীয় পরিজনরা এই সময় বাড়িতে আসেন পুজো দেখতে। ঠাকুরের অর্ডার দেওয়া থেকে শুরু করে কাঁধে করে মণ্ডপে প্রতিমা আনা সব কাজ আমরা করি।আমাদের কাছে এখানে কোনো ধর্মীয় সমস্যা নেই । আমরা সবাই এক এখানে। এটা আমাদের সবার পুজো।
top of page
bottom of page
コメント